Thursday, August 8, 2013

এরশাদ চাচার হোমডেট

স্বর্গে নতুন আইন জারি হয়েছে,যাদের মৃত্যু
খুব দুর্ভাগ্যজনক হয়েছে তারাই
স্বর্গে ঢুকতে পারবে।

পরদিন সকালে স্বর্গের
দ্বাররক্ষী দেখলো এক যুবক এসে হাজির যার
নাম আবুল ।

রক্ষীঃ তোমার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

আবুলঃ ওহ, খুব ভয়ানক।অফিস
থেকে দুপুরে 25তলায়
এপার্টমেন্টে ফিরি লাঞ্চ খেতে।ঢুকেই
বুঝতে পারি আমার বউ ওর বয়ফ্রেন্ডের
সাথে শুয়েছিল।মাথায় রক্ত চেপে যায়।
ব্যাটারে খুঁজতে থাকি।না পেয়ে বারান্দায়
যাই।দেখি ব্যাটা কার্নিস ধরে ঝুলে আছে।ওর
হাতের মধ্যে তখন জুতোর
গোড়ালি দিয়ে মারতে থাকি।তাতে ২৫
তলা থেকে নীচের গাছের উপর পড়ে ও।
তখনো ব্যাটা বেঁচে আছে।
রাগে অন্ধহয়ে ঘরের ফ্রীজটা ঠেলে বারান্দায়
এনে নীচে ওর শরীর তাক করে ফেলে দেই।আর
তাতে আমি এতই উত্তেজিত হই যে তখনই
হার্টএটাক করে মারা যাই।

সবশুনে রক্ষী তাকে স্বর্গে ঢুকতে বলে।
এর কয়েক সেকেন্ডের মাথায় হাবুল নামের
যুবক এসে হাজির।

রক্ষীঃ তা তোমার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

হাবুলঃ ওহ ভয়ংকর।আমার ২৬ তলার
এপার্টমেন্টের বারান্দায় ব্যায়াম করছিলাম
আমি।খুব ক্লান্তহয়ে রেলিংয়ে বসি রিলাক্স
করতে।হঠাত্ মাথাঘুরে নীচে পড়েযাই।
সৌভাগ্যক্রমে ২৫তলার বারান্দার
রেলিংটা ধরতে পেরে ঝুলে বাঁচার চেস্টা করি।
হঠাত্ এক হারামজাদা কিজানি কেন,
অযথা এসে আমার রেলিং ধরা হাতের উপর
জুতারবারি মারতে থাকে।তাতে হাত
ফসকে বহুনীচের এক গাছের উপর পড়ে ওখান
থেকে মাটিতে পড়ি।তখনও বাঁচার আশা ছিল
আমার।কিন্তু ঐ হারামজাদা আমার ঐ
অবস্থায় ওর ফ্রিজটা ঠেলে আমার উপর
ফ্যালায়।তখনই মৃত্যুহয় আমায়।

রক্ষীঃ হু, খুবই দুঃখজনক।ওকে তুমি যাও
ভেতরে যাও।

হাবুল ভেতরে ঢোকার দুই মিনিট পর এরশাদ
চাচা এসে হাজির!

রক্ষীঃ ওহ্ নো! তুমি আবার কেমনে মরলা?

এরশাদঃ আর কইয়েননারে ভাই।এতদিন পর
যে এমনে ধরা খামু তা কি জানতাম? খুবই
সুন্দরি, এক গার্লফ্রেন্ডের বেডরুমে ছিলাম
কাম করা অবস্থায়। আগের মত
জোরতো আর নাই এইবয়সে। তাই কাম
শ্যাস হইতে একটু দেরি হইতাছিল।হঠাত্ ওর
জামাই আইসা দরজায় নক করে। কামের
মাঝখানে একি কান্ড। জীবনে এই পেরথম।
জলদি লুকাইয়া পড়নের জায়গা খুঁজি। আরকিছু
না পাইয়া, ফ্রীজের ভিতরে গা ঢাকা দেই।
কিন্তু ভাইগ্য আমার।হালারপুতে এতকিছু
থাকতে আস্ত
ফ্রিজটা ধইরা নীচে ফালাইয়া দিল!
তারপরেই নিজেরে এইখানে আবিষ্কার
করলাম !!!

No comments:

Post a Comment